ঢাকা: দেশে সরকারী নির্দেশে এক সপ্তাহ ধরে ফেসবুক বন্ধ রাখার কারণে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের অনেকে এখন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে শুরু করেছেন।
ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা করেন এমন অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোটামুটি বসে গেছে।
আবার ফেসবুক না থাকার কারণে, অনলাইনে সংবাদ পরিবেশনকারীরা তাদের ফেসবুক পেজে ভিজিটরের সংখ্যা দারুণভাবে কমে গেছে।
সরকার অবশ্য বলছে না যে ঠিক কবে দেশের ব্যবহারকারীরা আবারো ফেসবুকের সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের রিভিউর রায় সুপ্রীম কোর্ট যেদিন ঘোষণা করেছিল, সেই দিন অর্থাৎ গত বুধবার থেকে বাংলাদেশের মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না।
ওই দিন সরকার ফেসবুকসহ জনপ্রিয় কয়েকটি মেসেজিং সাইটে প্রবেশ বন্ধ করতে ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়।
প্রযুক্তিতে দক্ষ কিছু ব্যবহারকারী বিকল্পপথে ফেসবুকে ঢুকতে পারছেন, এমনটা বলা হলেও বেশিরভাগ ব্যবহারকারী একটি সপ্তাহ ধরে ফেসবুক ছাড়া কাটাচ্ছেন।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যেসব পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় এক কোটি সত্তর লাখ বাংলাদেশীর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর এদের প্রায় অর্ধেক বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর কোঁঠায়।
আর এদের টার্গেট করে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডও চালাচ্ছে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে নানা রকম পণ্য, যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস ও পোশাক।
বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ফেসবুকে ঢুকতে না পারার কারণে সমস্যায় পড়েছে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোও।
খুব সহজ একটি যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহার খুব দ্রুত বেড়েছে। এর ওপর নির্ভরতাও বেড়েছে বহুগুণ।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের দাবি, গত ছয় দিনে তাঁদের ব্যবসা কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। শুধু ফেসবুক নির্ভর ব্যবসাও কমেছে ৮০-৯০ শতাংশ। এক সপ্তাহে আনুমানিক এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
বেসিসের হিসাবে ৬০টিরও বেশি ই-কমার্স সাইট দেশে নিয়মিত অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা করে। এর বাইরেও হাজার খানেক অনলাইন ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমকে ঘিরেই ব্যবসা করে।