মশার জিন বদলে ম্যালেরিয়া রোধের পন্থা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বিজ্ঞানীরা। এর ফলে মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে মশা।
এই বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে মশার ডিএনএতে তারা ম্যালেরিয়া-রোধী একটি জিন প্রতিস্থাপন করতে পেরেছেন। বলা হচ্ছে, ডিএনএ বদলে দেয়া মশার পরবর্তী প্রজন্ম আর ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করবে না।
অবশ্য এই পদ্ধতি এখনো শুধু পরীক্ষাগারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, মাঠ পর্যায়ে এটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
এই গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অধ্যাপক অ্যান্থনি জেমস বিবিসির কাছে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে বলছেন, “আমরা এমন একটি জিন তৈরি করতে পেরেছি যেগুলো মশার কোষে ঢোকানোর পর সেগুলো ম্যালেরিয়া জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারছে।”
“আমাদের হাতে এখন এমন প্রযুক্তিও আছে যাতে এই জিন ব্যাপক সংখ্যায় মশার ভেতর ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। এই কাজ এতটাই দ্রুত করা সম্ভব যে কার্যকরিভাবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সম্ভব হবে।”
প্রফেসর জেমস এমন কথাও বলেন যে, পৃথিবী থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা এখন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, যেটা আশা করা হচ্ছে তা হলো বিশ্বের আনাচে-কানাচে যেখানেই মশার বসবাস, সেখানেই এই জিন ছড়িয়ে পড়বে। ঐসব মশা আর ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করতে পারবে না।
মি. জেমস বলেন, ম্যালেরিয়ায় মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা তুলনা করে এই পদ্ধতির সাফল্য নির্ণয় করা সম্ভব।
এই গবেষণার কার্যকারিতা পরীক্ষা কবে নাগাদ মাঠ পর্যায়ে শুরু হবে, তা এখনো বলা হয়নি।
ম্যালেরিয়ার কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর পাঁচ লাখ লোকের মৃত্যু হয়, যার বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে।
যদিও এই শতাব্দীর শুরুর সময় থেকে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ষাট শতাংশ কমে গেছে, কিন্তু মশার মধ্যে এখন ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে- যা উদ্বেগজনক। সূত্র: বিবিসি