ফেনী জেলায় পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া প্রকট আকারে ধারণ করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে রোটা নামক এক প্রকার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ রোগে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সী শিশুরা।
বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ২০০ রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
হাসপাতাল ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফেনীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে শীতকালীন রোটা ভাইরাসজনিত কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে গত ৪ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ফেনী ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক রোগী। আর হাসপাতালটির ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৬টি। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ২৪ শয্যা বাড়ানোর পরও অসংখ্য রোগী হাসপাতালের মেঝেতে ও চলাচলের সিঁড়িঘরের নীচে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে হাসপাতালে ওষুধ ও জনবল সঙ্কট। ফলে চিকিৎসকদের দেয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।
হাছিনা আক্তার নামে এক রোগীর অভিভাবক জানান, হাসপাতালে জায়গাও নেই ওষুধও নেই। তারা বাইর থেকে ওষুধ নিয়ে রোগীদের খাওয়াচ্ছে।
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিবছরই দূষিত খাবার ও পানির অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে শিশুরাই ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এখন রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে প্রায় ২শ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. ছারওয়ার জাহান বলেন, ‘ডায়ারিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য ৬টি শয্যা থেকে বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমাদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি রোগীদের চিকিৎসা দিতে।’